অর্থের লোভে একদল লম্পট যে কোন অপরাধ করে বেরাচ্ছেন। যে কোন খারাপ কাজে বাধা খাচ্ছে না তারা।গরিবদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদেরকে বাধ্য করছেন বিভিন্ন অপকর্মে।তার মধ্যে অন্যতম মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা। এমনি এক ঘটনা ঘটছে ভারতে জানা গেছে
যুব সমাজ আজ ভয়ংকর দিকে যাচ্ছে দিন দিন ।তারি প্রতিফলনে বিভিন্ন অপকর্মে জরাচ্ছেগেস্ট হাউসের আড়ালে চলত দেহ ব্যবসা। তাও আবার সরকারি গেস্ট হাউসে।
‘মনোরম পরিবেশে আধুনিক, সুসজ্জিত ও সব রকমের সুবিধাযুক্ত গেস্টহাউসে থাকার সুযোগ নিন। এসি-নন-এসি রুম পাওয়া যাবে।’ এমন এক লেখা সংবলিত বিজ্ঞাপনও টানিয়ে দেয়া হয় শহরের বিভিন্ন জায়গায়।
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোন্নগর রেল স্টেশনের নিকটবর্তী ‘বিশ্রামিকা গেস্ট হাউসের’। আর সেই গেস্ট হাউসেই দেহ ব্যবসা চলছিল দাবি করেছে কলকাতা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল রাতে সিআইডির তদন্তকারী একটি দল হঠাৎই হানা দেয় এই গেস্ট হাউসে। এসময় ৫ তরুণীকে উদ্ধার করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই সময় ৪ ব্যক্তিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও গেস্ট হাউসের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ১০টি মোবাইল, নগদ ১০ হাজার টাকা ও নিষিদ্ধ ডিভিডি ও ৪৬ টি কনডম। গভীর রাত পর্যন্ত তদন্ত করে আরও বেশ কিছু তথ্য হাতে আসে সিআইডির।
সিআইডির দাবি, উদ্ধার হওয়া ৫ তরুণীকে দিল্লিতে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। ওই গেস্ট হাউসের বিভিন্ন ঘর থেকে প্রচুর কনডম, পর্ন ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি, পর্নোগ্রাফিও শুট করা হতো ওই গেস্ট হাউসে।
সিআইডির বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানানো হয়, ওই ৫ তরুণীকে কাজের টোপ দিয়ে তাদের গেস্ট হাউসে নিয়ে আসা হতো। প্রথমে মোবাইলে তাদের ছবি তোলা হতো। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হতো সেই ছবি।
সেই ফটো দেখে পছন্দ হলে বিশ্রামিকা গেস্টহাউসে আসতেন গ্রাহকেরা। এরপর ওই তরুণীদের গোপন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হতো। এক সময় এমন কথা শুনতে পেয়ে সিআইডি এক ব্যক্তিকে গ্রাহক সাজিয়ে ওই গেস্ট হাউসে পাঠায়। পরে নকল গ্রাহকের মাধ্যমেই এ ঘটনা ফাঁস হয়।সব কিছু ঠিক করে গোপনে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।এরা এখনো করাগারে রয়েছে বলে জানা গেছে।তবে পৌরসভার উধ্বতন কোন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিআইডি।